ভিটামিন A ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন।

 ভিটামিন এ চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন.। এই ভিটামিন প্রাকৃতিক অবস্থায় কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যেও পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিটামিন এ ক্যাপসুল কিনেও খাওয়া যায়। এই ক্যাপসুল শরীরে অনেক সমস্যা দূর করে। এই ক্যাপসুলটি সরকার থেকে প্রতি বছর দুই থেকে পাঁচ বছর শিশুদের দিয়ে থাকে।

শুধু শিশুদের না বড় পুরুষ মহিলাদের জন্য এই ওষুধ কার্যকারী আজকে আমার এই আর্টিকেল থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। এটি খেলে কি কি সমস্যা দূর হয় তা জানবো তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

  • ভিটামিন এ 
  • ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য দ্রব্য
  •  স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর ভিটামিন এ
  • কি কি রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন এ
  • শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল
  • ভিটামিন এ ছেলে খেলে কি সমস্যা হতে পারে 

ভিটামিন এ 

ভিটামিন এ এটি প্রাকৃতিকভাবে খাদ্যদ্রব্য থেকে পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন এ ক্যাপসুল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। ভিটামিনএ শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন এর শরীর থেকে বিকাশ ও চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য থেকে পাওয়া যায়। তবে যাদের অতিরিক্ত ভিটামিন এ সমস্যা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারেন। শিশু বাচ্চাদের দেয়া হয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল। যা প্রতিবছর শিশু বাচ্চাদের এই ক্যাপসুল দেওয়া হয়। শিশু বাচ্চাদের জন্য এই ক্যাপসুলটি অনেক উপকারী। শিশু বাচ্চাদের দ্রুত বিকাশ চোখ হাত পা শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়া হয়। 


এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যাই। বয়স্ক মহিলাদের বা পুরুষদের জন্য কিংবা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ব অবস্থায় বেশি বেশি ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য খেতে হবে। এতে গর্ভবতী মায়েদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চার বিকাশ বৃদ্ধি পাবে। ডাক্তারা যে সকল মহিলা পুরুষ বা গর্ভবতী মহিলারা শরীরে নানান ধরনের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন যা চোখে কম দেখতে পারা খাওয়া-দাওয়ার অনিহা, দিনের অধিকাংশ সময় বমি ও শরীর দুর্বলতা ভাব মাথা ঘুরা সমস্যা দেখায়। সে সকল মহিলা পুরুষ ও গর্ভবতী মহিলাদের ভিটামিন এ যুক্ত  খাদ্যদ্রব্য খেতে পরামর্শ দেন।

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য দ্রব্য

এতক্ষণ আমরা ভিটামিন এ সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা ভিটামিনের সমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্য জেনে নিব চলুন তাহলে আমরা করে জেনে নেই,

  1. সবুজ শাকসবজি যেমন ব্রকলি , কেল , পালং শাক, পুইশাক।
  2. আঙ্গুর , পেঁপে , খেজুর।
  3. মিষ্টি কুমড়া
  4. মিষ্টি জাতীয় পণ্য যেমন দই ,দধী , দুধ , পনির
  5. গাজর এবং অন্যান্য সবজি যে সকল সবজিতে প্রাকৃতিক রঙ্গিন রঙ্গক থাকে যেমনঃ লাল হলুদ সবুজ ক্যাপসিকাম।
  6. মাংস হাঁস মুরগির মাংস এবং মাছ বিশেষ করে পেপে
  7. ডিমের কুসুম ও যকৃত

এই খাবারগুলো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবারগুলোতে  রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। তবে এ খাবারগুলোতে ভিটামিন এ থাকলেও অবশ্যই আপনাদের ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে যেতে হবে । গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এ সকাল খাবার গুলো খাওয়া উচিত হবে কিনা তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর ভিটামিন এ

এতক্ষণ আমরা ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য গুলো জানলাম এখন আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর ভিটামিন এ সম্পর্কে জানব চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক

দৃষ্টি শক্তি সংরক্ষণ

ভিটামিন এ এর অভাবের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হতে পারে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় এবং বয়স বাড়তে শুরু হলে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। এই চোখের সমস্যার সমাধানের জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত প্রয়োজন। ভিটামিন এ ক্যারোটিনইয়েনস যাক যা আপনার চোখে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। এভাবেই দৃষ্টি শক্তিকে সুরক্ষা করে।

বয়সের ছাপ প্রতিরোধ

ত্বকে নতুন কোষ গঠন করতে ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারাখে। ভিটামিন এ থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট চামড়ার আকাল বার্ধক্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। সুতরাং আপনি যদি ভিটামিন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য খেয়ে থাকেন তাহলে বলিরেখা বা জরার চিহ্নের পড়ার ছাপ সম্ভাবনা কম থেকে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য

ভিটামিন এ শুধু গর্ভবতী মহিলাদের প্রসাবের সময়কেই এগিয়ে আনে তা নয় এটি জন্মকালীন ত্রুটি যেমন শেখের অক্ষমতা জাতীয় ত্রুটি গুলোর সঙ্গে যুক্ত।

নবজাতক ও শিশুদের জন্ন্য

ভিটামিন এ  শিশুদের  রোগ প্রতিরোধ তাদের যথার্থ বৃদ্ধিতে এবং বিকাশে সহায়তা করে। একটি নবজাতকদের শারীরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত করে।

মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা উন্নত করে

ভিটামিন এর শিশুদের মস্তিষ্কের কোষগুলো যথাযথ বৃদ্ধি ও সহায়তা করে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক সাক্যাডিয়াম রিদম বজায় রাখার ক্ষেত্রেও সহায়ক। যা চাপ কমিয়ে মস্তিষ্ককে কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কি কি রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন এ

এতক্ষন আমরা জানলাম স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর ভিটামিন এ এখন আমরা জানবো ভিটামিনের অভাবে কি কি রোগ হতে পারে চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই,

  1. রাত এর অন্ধত্ব কম আলো অবস্থায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী
  2. জিরোফথালমনিয়া উষ্কতা জ্বালা চোখের সংক্রমনের সংবিধান শীলতা
  3. বিটোটের দাগ; ফেনা যুক্ত সাদা ছোপ দেখা দেয়
  4. ভিটামিন এ এর ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় যেমনঃ শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা।
  5. ভিটামিন এ এর অভাবে শুষ্ক ত্বক , রুক্ষ ত্বক , ব্রোন অন্যান্য সমস্যা হতে পারে
  6. শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের ঘাটতি হতে পারে ভিটামিন এর অভাবে
  7. অতিরিক্ত ভিটামিন এ এর অভাব হলে বন্ধ্যাত সমস্যা দেখা দিতে পারে
উপরের এইগুলো সমস্যা শরীরে দেখা দিলে ভিটামিন এ খেতে হবে। তবে অবশ্যই ভিটামিন এ ট্যাবলেট ও ভিটামিন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন

শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল

সারা দেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সি এবং৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে.৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদেরকে কি করে লাল ক্যাপসুল ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী বাচ্চাদের একটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এই ওষুধটি খাওয়ার আগেই শিশুদেরকেভরা পেটে ওষুধ খাওয়াতে হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুলটি সামান্য মাথা কেটে মুখে চিপে খাওয়ানো হয়। বাচ্চাদে জোর বসতো বা কান্নারত অবস্থায় খাওয়ানো উচিত না। এতে ক্যাপসুল তরল লালার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে। এই ভিটামিন এ ক্যাপসুলটি বাচ্চাদের খাওয়ালে

  1. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়
  2. দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখে
  3. বন্ধ্যাত্ব প্রতিরক্ষা করে
  4. শরীরে থাকা জীবাণুকে প্রতিরক্ষা করে

প্রতিবছর একটি শিশুদের কে খাওয়ানো উচিত। এবং এর পাশাপাশি ভিটামিন এর সমৃদ্ধ খাদ্যব্য খাওয়ানো উচিত। অবশ্যই এ সকল খাওয়ানোর আগে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিটামিন এ খেলে কি সমস্যা হতে পারে 

সব কিছুর উপকারিতা রয়েছে অপকারিতা রয়েছে চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই ভিটামিন এ অতিরিক্ত খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে, ভিটামিন এ খুব তাড়াতাড়ি পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে বাড়তি ভিটামিন যকৃত ধরে রাখে ভিটামিন এ কে। এই ধরে রাখার কারণে এলার্জি দেখা দিতে পারে শরীরে। শুধু এলার্জি না অনেক ধরনের ক্ষতি দেখা দিতে পারে মুখ ফুলে যায় , ট ঠোট ও গলা ফুলে যেতে পারে। মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব হতে পারে হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা হাত পায়ে ব্যাথা  কি অমনোযোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছাড়াও অতিরিক্ত খেলে কষ্ট কাঠিন্য কিডনিতে সমস্যা সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url